বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:১৮ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

মানুষের ৫ দুর্বলতা

মুফতি আইয়ুব নাদীম:
মহান আল্লাহ পৃথিবীকে করেছেন বৈচিত্র্যময়। বৈচিত্র্যময় এই পৃথিবীতে নানা জাত-প্রজাতের মাখলুক দ্বারা এর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছেন। পৃথিবীতে এমন হাজারো মাখলুক আছে, যেগুলোর নাম, পরিচয়, উপকার-অপকার কোনোটিই আমাদের জানা নেই। কিন্তু এতসব মাখলুকের মধ্যে সবচেয়ে সম্মানিত ও সেরা মাখলুক হচ্ছে মানুষ। নানা জ্ঞানে-গুণে ও বৈশিষ্ট্যে মানুষ সুমহান মর্যাদার অধিকারী হলেও কিছু দুর্বলতা তার মধ্যে আছে। মানুষের ৫টি দুর্বলতা সম্পর্কে বিবরণী তুলে ধরা হলো।

মানুষ জালেম : পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘বস্তুত সে ঘোর জালেম।’ (সুরা আহজাব ৩৩) বস্তুত এ কথাই প্রমাণ করে মানুষের ভেতরে ইনসাফের যোগ্যতা আছে। আর এ কথা তাদের ব্যাপারে বলা হয়েছে, যারা আমানতের ভার বহন করার পর সে অনুযায়ী আনুগত্যের সঙ্গে জীবনযাপন করেনি। এখন মানুষ যদি যথাযথ চেষ্টা-সাধনা করে, তাহলে সে তার ভেতরের জুলুম প্রবণতা দূর করে ইনসাফের বীজ বপন করতে পারে। আর সে অনুযায়ী নিজের জীবনকে ইনসাফভিত্তিক সাজাতে পারে এবং ইনসাফের এই সুবাস অন্যরাও গ্রহণ করতে পারে।

মানুষ দুর্বল : পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তোমাদের ভার লাঘব করতে চান। মানুষকে দুর্বলরূপে সৃষ্টি করা হয়েছে।’ (সুরা নিসা ২৮) মানুষ নিজের জৈবিক চাহিদা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে দুর্বল। অর্থাৎ জন্ম সূত্রেই মহান আল্লাহ মানুষকে কামপ্রবৃত্তি মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে দুর্বল করে সৃষ্টি করেছেন। তাই মহান আল্লাহ এই চাহিদা বৈধ পন্থায় পূরণ করতে বাধা দেননি; বরং তার জন্য বিবাহকে সহজ করে দিয়েছেন। তাছাড়া শরিয়তের যাবতীয় বিধানাবলি তাদের জন্য সহজ করে দিয়েছেন।

মানুষ অজ্ঞ : পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘বস্তুত সে ঘোর জালেম, ঘোর অজ্ঞ।’ (সুরা আহজাব ৭২) মানুষের ভেতরের এ অজ্ঞতাই প্রমাণ করে যে, তার মধ্যে ইলম বা জ্ঞানার্জনের পর্যাপ্ত যোগ্যতা রয়েছে। মানুষ যদি যথাযথ মেহনত করে, তাহলে সে নিজের এ অজ্ঞতা দূর করে জ্ঞানার্জন করতে পারবে।

মানুষ তাড়াহুড়াপ্রবণ : পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘বস্তুত মানুষ তাড়াহুড়াপ্রবণ।’ (সুরা বনি ইসরাইল ১১) মানুষ জন্মসূত্রে তাড়াহুড়াপ্রবণ। যে কারণে তারা চারদিন নফল নামাজ পড়েই পঞ্চম দিন আল্লামা শিবলী কিংবা জুনায়েদ বাগদাদী হওয়ার স্বপ্ন দেখে। বিষয়টি একটি উদাহরণের মাধ্যমে আরও পরিষ্কার করা যায়। যেমন : কোনো এক ব্যক্তি দুই একবার দোয়া করার পর যদি তা কবুল না হয়, তাহলে অভিযোগের স্বরে তখন সে বলতে থাকে, আল্লাহর কাছে দোয়া করলাম, কিন্তু তিনি তো কবুল করলেন না। অথচ আল্লাহতায়ালা সাড়ে সাতশো বারেরও অধিক নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন, কিন্তু আমরা সে বিধানকে এক কানে শুনে আরেক কান দিয়ে বের করে দিই, সেই আমি যখন কাউকে কোনো কাজের জন্য দুই-তিনবার নির্দেশ দিই, আর সে ওই কাজ অমান্য করে, তখন রাগের স্বরে চেহারা বিবর্ণ করে বলতে থাকি, আমি তোমাকে তিনবার বললাম কিন্তু তুমি তা পালন করলে না। এটাই হলো মানুষের তাড়াহুড়া প্রবণতার অনন্য দৃষ্টান্ত। অর্থাৎ অল্প মেহনত করে খুব বেশি পাওয়ার আশা করে থাকে।

মানুষ সংকীর্ণমনা : পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘বস্তুত মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে লঘুচিত্তরূপে।’ (সুরা মাআরিজ ১৯) অর্থাৎ মানুষ জন্মলগ্ন থেকেই ছোট দিলওয়ালা, যে কারণে অল্পতেই যেমন খুশি হয়, তেমনি আবার সামান্য পেরেশানিতেই ভেঙে পড়ে।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION